পাকিস্তানের কিছু সামরিক চৌকিতে তালেবান বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া গেছে; এরপর দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি এবং সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া হয়েছে—এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঘটনাগুলো চলতি সপ্তাহে কাবুলে পাকিস্তানের কথিত বিমান হামলার পর সংঘটিত বলে সূত্রগুলো বলেছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ হওয়ায় তারা “পূর্ণ শক্তি দিয়ে” প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সীমান্তের ছয়টিরও বেশি স্থানে গোলাগুলি হয়েছে। পাকিস্তানি সূত্রে প্রদর্শিত ভিডিওতে দেখা যায় আফগানিস্তানের দিকে গোলা ও বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে এবং রাতে আকাশ আলোকিত হচ্ছে।
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে তালেবান দাবি করেছে, তারা তিনটি পাকিস্তানি সীমান্ত চৌকি দখল করেছে। বিপরীতে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সেনাবাহিনী কয়েকটি আফগান চৌকি ধ্বংস করেছে এবং ভারী কামান ও ট্যাংকসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কাবুল ও পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলার অভিযোগ তুলে তালেবান সরকার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছিল। ইসলামাবাদ সেই বিমান হামলার অভিযোগ স্বীকারও করেনি, অস্বীকারও করেনি; তবে কাবুলকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপি-কে আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি বলেন, এই অভিযান পাকিস্তানের আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘনের জবাবে চালানো হয়েছিল এবং স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এটি শেষ হয়েছে। তিনি সতর্ক করেছেন—আকাশসীমা পুনরায় লঙ্ঘিত হলে তারা কঠোর জবাব দেবে।
রয়টার্স উদ্ধৃত সূত্রের ভিত্তিতে এসব ঘটনা জানা গেলেও নির্দিষ্ট হতাহতের সংখ্যা বা সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির স্বাধীনভাবে যাচাই সক্ষম প্রতিবেদনগুলোতে পাওয়া যায়নি।