চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার ও রোববার (১১ ও ১২ অক্টোবর) রাতে এসব মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১০ অক্টোবর ডিঙ্গেদহ এলাকার একটি গোপন স্থানে ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি চোলাই মদ পান করেন। এর মধ্যে ১১ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু হয়। পরদিন রোববার রাতে আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে দুইজন মারা যান। বর্তমানে একজন সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতরা হলেন—লাল্টু (৪৫), শহীদ মোল্লা (৫০), ছমির উদ্দীন (৫৫), সেলিম (৩৮), লালটু (৩৮) ও খেদের আলী (৫৫)। তারা সবাই দিনমজুর বা শ্রমিক ছিলেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ডিঙ্গেদহ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দেশি চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
ডিঙ্গেদহ বাজারের ব্যবসায়ী রানা বলেন, “প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। নিয়মিত অভিযান থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।”
চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আলিম উদ্দিন নামে এক শ্রমিক। তিনি জানান, সর্দারের দেওয়া স্পিরিট পান করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্ত্রী জানান, বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, “অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।