রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, দেশটি সফলভাবে “পসাইডন” নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে—যার মতো অস্ত্র বিশ্বের আর কোথাও নেই। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত সৈন্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, “পসাইডন” এমন এক অস্ত্র যা বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চল ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি পারমাণবিক টর্পেডো ও ড্রোনের সংমিশ্রণ, যার প্রথম ঘোষণা আসে ২০১৮ সালে।
সম্প্রতি রাশিয়া আরেকটি অস্ত্র “বুরেভেস্তনিক” ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা ন্যাটো নাম দিয়েছে SSC-X-9 Skyfall। রাশিয়ার দাবি, এটি যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে।
তবে এসব অস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বিবিসিকে বলেন, “এগুলো মূলত আর্মাগেডন অস্ত্র—যেগুলো তখনই ব্যবহারযোগ্য, যখন আপনি পুরো বিশ্ব ধ্বংস করতে চান।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে স্থবির যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও ব্যর্থ কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে পুতিনের এই ঘোষণাগুলো বাস্তবের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ বাতিল ও নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া হয়তো শক্তি প্রদর্শনের কৌশল নিচ্ছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৩ বছর পর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, যদিও পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ জানায়, পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের পারমাণবিক প্রোপালশন প্রযুক্তিতে এখনও গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। ফলে এই অস্ত্রগুলো কার্যকর না প্রচারণামূলক—তা নিয়েই এখন বিতর্ক চলছে।