গাজায় গত বছরের গণহত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা কিছু গোপন গোয়েন্দা তথ্য ইসরাইলের আগ্রাসনে যুদ্ধাপরাধের ইঙ্গিত দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওয়াশিংটনের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ইসরাইলি সামরিক আইনজীবীরাও গাজায় অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে সতর্কতা জানিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তা বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি সাবেক কর্মকর্তারা।
রয়টার্স জানায়, প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মধ্যে সীমিতভাবে ভাগ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসে এক ব্রিফিংয়ের আগে প্রশাসনের সব অংশকে তা জানানো হয়।
সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, ওয়াশিংটন ইসরাইলের বেসামরিক স্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ধারণা—এ ধরনের হামলা ইসরাইলের অভিযানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির ২৯তম দিন পার হলেও ইসরাইলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনুসে ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে ইসরাইলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ৭২ ঘণ্টায় একজন নিহত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে নয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। এ পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ এবং আহতের সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫।