গাজা উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি বহাল থাকলেও ইসরায়েলের নতুন বিমান ও ড্রোন হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোর থেকে চালানো এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৭ জন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনের প্রথম হামলাটি হয় উত্তর গাজা সিটিতে একটি গাড়ির ওপর। এরপর দেইর আল-বালাহ ও নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে পরপর আঘাত হানে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সিটির রিমাল এলাকায় এক ড্রোন হামলায় একসঙ্গে ১১ জন নিহত হন এবং ২০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক রামি মুহান্না জানান, আহতদের অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
দেইর আল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দৌঁড়ে পালান। প্রত্যক্ষদর্শী খালিল আবু হাতাব বলেন, “একে যুদ্ধবিরতি বলা যায় না। কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই।”
অব্যাহত হামলার নিন্দা জানিয়ে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, ইসরায়েল বারবার যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা জরুরি।
গাজার চলমান মানবিক সংকটের মধ্যেই নতুন এসব হামলা উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।