উত্তরবঙ্গে পা রেখেই তিনি ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। বিজেপি যে বিভাজনের রাজনীতি করে পাহাড়ে সমস্যা তৈরি করছে সে কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। জিটিএ নির্বাচন করতে তিনি রাজি এবং পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সবকিছু করতে তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন।
তাতে পাহাড়ের মানুষজন করতালি দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এবার মানুষের মাঝে নিজেকে মেলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল। বুধবার সকালে কার্শিয়াংয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে প্রাতঃভ্রমণ করেন তিনি। কথা বললেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। এমনকী, রাস্তায় বসে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার ধারের দোকান থেকে কেনেন জুতোও।
উত্তরবঙ্গ সফরে আজ তাঁর চতুর্থ দিন। আরও একদিন থাকবেন তিনি। তারপর আরবসাগরের তীরবর্তী রাজ্য গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। এখানে দু’দিন প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউজে রাতে থাকেন তিনি। আজ হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। চলে আসেন মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়।
এই বড় পথ হেঁটে অতিক্রম করার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু’বছরে পাহাড়বাসী কী পেয়েছেন–কী পাননি তা এলাকাবাসীর কাছে শুনতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলি মন দিয়ে শোনার পর রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাচ্চাকে আদরও করেন তিনি। এরপর চলে আসেন মহানদী পয়েন্টে। সেখানের একটি চায়ের দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভাই একটু চা হবে?’ দোকানি তো হকচকিয়ে যান। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চা খেতে এসেছেন তাঁর দোকানে। সেখানেই চেয়ার নিয়ে বসে পড়ন তিনি। চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিয়ে দোকানির সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প জুড়ে দেন।
এখানে এসে আড্ডায় যোগ দেন ইন্দ্রনীল সেনও। পাহাড়ের ফুরফুরে আবহাওয়ায় তাঁকে গান শোনাতেও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই গান শোনান তিনি। ততক্ষণে জমে উঠেছে পাহাড়ের আড্ডা। বাংলার নিজের মেয়েকে কাছে পেয়ে আপ্লুত দোকানদারও। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘরের মেয়ে’ সুলভ আচরণে আপ্লুত পাহাড়ের স্থানীয় মানুষজনও। অনেকেই বলেন, ‘আবার আসবেন’। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা