প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোর যত্ন নেয়ার পাশাপাশি তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে এবং ভয় ও লোভকে দূরে রেখে আইনানুগ দায়িত্ব পালন করার জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলে খেয়াল রাখবেন কারণ আমি আর দেখতে চাইনা কোন শহীদ পরিবার, জাতির পিতার চিঠি যাঁর হাতে সে ভিক্ষা করে খাবে-এটা যেন না হয়। আমরা যত কাজই করি এই কাজটা সব থেকে আগে করতে হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ভিক্ষা করবে এটা আমাদের জন্য মোটেই সম্মানজনক নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা ডিসিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে সকল প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
সরকারি সেবা নিতে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ পরিবার বা গণহত্যার শিকার কোন পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কিনা সেটা আপনাদের দেখতে হবে। এঁদের অবদানে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। জাতির পিতার ডাকে সবকিছু ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করলেও ’৭৫ এর পর তাঁদের আর অস্তিত্বই স্বীকার করা হয়নি। তাই, তাঁদের দুর্ভোগের সীমা ছিলনা। কিন্তু এখন আমরা যখন সরকার পরিচালনা করছি, তখন তাঁদের কেউ ভিক্ষা বৃত্তি করবে সেটা আমাদের জন্য খুব লজ্জার। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার আহবান জানান।