রফিকুল ইসলাম দেবহাটা প্রতিনিধি। দেবহাটায় রপ্তানি যোগ্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে অপদ্রব্য পুষ করার অপরাধে ১ ব্যক্তিকে ১ লক্ষ্য টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ই ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের ভ্রাম্যমান আদালতে এ শাস্তি প্রদান করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গাজিরহাট মাচের সেট সংলগ্ন মাছের ঘরে রপ্তানির পূর্বে গলদা চিংড়িতে সাবু, জেল জাতীয় অপদ্রব্য পুষ করে ওজন বাড়ানোর কাজ চলে আসছে। এ বিষয়ে গোপন তথ্য প্রমাণ জানতে পেরে বৃহস্পতিবার ১১ টায় ঘরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। এসময় সাথে ছিলেন দেবহাটা থানা কর্মকর্তা হযরত আলী,মেরিন এন্ড ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন,এস আই রিয়াজুল ইসলাম,নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনায়োম হোসেন ,নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চ সহকারী সাদেক হোসেন, ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীরা। অভিযান কালে চিংড়িতে পুষ করার সামগ্রী ও পুষ করা গলদা চিংড়ি মাছ জব্দ হয়।
চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ করার অপরাধে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০২০) এর ৩১ এর ১ ধারায় তাদেরকে টাকা অর্থদন্ড করা হয়। সেই সাথে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না এই মর্মে অঙ্গিকার করেন ওই ব্যবসায়ী। পরে জব্দকৃত মাছ ও পুষ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সম্পদ মৎস্য শিল্প। কিন্তু কিছু মানুষ অতি মুনাফার আশায় চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ করে আসছেন। এতে এই জেলার মাছের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। চিংড়ির সুনাম ফেরাতে এবং নিরাপদ মাছ রপ্তানির জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপদ্রব্য মেশানোর বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।