নওয়াপাড়া পৌর (যশোর) প্রতিনিধি। অভয়নগরে শিরিষ গাছ থেকে শাকিল আহমেদ পরামানিক (৩০) নামের এক
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট এলাকায় লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাকিল আহমেদ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম প্রামানিকের ছেলে। তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় সরদার মিল ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ বছর আগে উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়ার শহিদুল ইসলাম সোহেলের মেয়ে সিনথিয়ার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিল শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। সাফওয়ান নামে তাদের ঘরে চারবছর বয়সি একটি ছেলে রয়েছে। গত একবছর শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক কারবারিদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিহতের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে জরুরী কাজের কথা বলে এক হাজার ৫০০টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শাকিল। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পেছনে একটি শিরিষগাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শকিলের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর
কারণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। দুপুরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম সোহেল বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায় পাঁচবছর ধরে ঘরজামাই হিসেবে আমার বাড়িতে থাকতো শাকিল। সম্প্রতি সে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তের পর সবকিছু পরিষ্কার হবে।
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।