শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জেলায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এসব কনটেন্ট অনলাইনে ছড়াতে শুরু করে। ঘটনার পরপরই ডিসি আশরাফ উদ্দিন একটি ভাড়াকৃত গাড়িতে জেলাটি ত্যাগ করেন। কর্মকর্তাদের দাবি, তিনি ছুটিতে আছেন।
এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ভিডিও ও ছবিতে থাকা নারী তাঁর আত্মীয়। পারিবারিক যোগাযোগ থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর দাবি, ওই নারী তাঁকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বাধ্য করেন এবং পরবর্তীতে ঘুমের ওষুধ ও নেশাদ্রব্য ব্যবহার করে ভিডিও ধারণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে মাসে মাসে অর্থ আদায় করতেন ওই নারী। এমনকি বিয়ের জন্য চাপ দেন এবং রাজি না হলে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন। দাবি না মানায় ভিডিও ও ছবি ফাঁস করা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই নারীর অ্যাকাউন্টে পূবালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে, যার প্রমাণ রয়েছে। ভিডিওতে দেখা নারীর বাড়ি টাঙ্গাইল, আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে টাঙ্গাইলে বসবাস করছেন। প্রথম আলোর একাধিক যোগাযোগের চেষ্টায় তিনি সাড়া দেননি।
শরীয়তপুরের এক আইনজীবী জানান, দুই মাস ধরে দু’জনের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছিল। তিনি জানান, সমঝোতার অংশ হিসেবে ওই নারী বিয়েতে রাজি হননি এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে শরীয়তপুরে যোগ দেন। তাঁর অবর্তমানে কে দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত নির্দেশনা অফিসে আসেনি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুল আলম।