জাপান প্রথমবারের মতো নিজ ভূখণ্ডে টাইপ-৮৮ ভূমি থেকে জাহাজে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের (Type 88 SSM-1) সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই পরীক্ষা ২৪ জুন হোক্কাইডোর শিজুনাই অ্যান্টি-এয়ার ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রায় ৩০০ জন সৈন্য অংশ নেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি মানবহীন নৌকায় সরাসরি আঘাত হানে।
মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে জাপানের গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিজিএসডিএফ) ‘টাইপ-৮৮’ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশিক্ষণমূলকভাবে নিক্ষেপ করে, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। জাপান সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া পরিচালনা করে থাকে, তবে সেগুলো ব্যয়বহুল এবং সীমিত সংখ্যক সেনাসদস্যের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটি এখন থেকে নিজ দেশে মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিজ দেশে এমন লাইভ-ফায়ার মহড়া “বেশি সংখ্যক সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং দ্বীপ ও অন্যান্য এলাকার প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে।” যদিও তিনি দাবি করেন এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবুও জাপান পূর্ববর্তী বিবৃতিতে চীনকে তাদের “সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি” হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেইজিংয়ের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের প্রয়াস, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে আগ্রাসী অবস্থানের কারণে জাপান তার প্রতিরক্ষা কৌশলে বড় পরিবর্তন আনছে। জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান। একই সাথে, আঞ্চলিক উত্তেজনা ও সম্ভাব্য হুমকির জবাবে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক জোট আরও জোরদার করা হচ্ছে।