বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে কমিশনের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত একটি গুরুতর অভিযোগ ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন। অভিযোগে বলা হয়, মাহফুজের ভাই মাহবুব আলম মাহির কমনওয়েলথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিগত ৯ মাস ধরে তার তদবির-সংক্রান্ত ‘কমিশনের টাকা’ পাঠানো হচ্ছিল, যার সর্বশেষ একটি লেনদেন—সাড়ে ছয় কোটি টাকা—অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC-এর নজরে আসে। এ ঘটনায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি তার।
অভিযোগটি সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বনি আমিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। ‘সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে বনি লিখেছেন, “মাহফুজের মতো আদর্শবাদী বলে পরিচিত একজন মানুষ কীভাবে বিতর্কের কেন্দ্রে এলেন, তা ভেবে হতবাক।”
তিনি আরও দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত মাহফুজের ভাই একজন ছাত্র ও পার্টটাইম ট্যাক্সিচালক। অভিযোগ অনুসারে, মাহফুজ দেশে প্রভাবশালী মহলের ফাইল তদবির করে অর্থ উপার্জন করেন, যা অস্ট্রেলিয়ায় ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।
এই অভিযোগে আরও বলা হয়, ২৪ জুলাই মিডল ইস্ট থেকে পাঠানো একটি বড় অঙ্কের লেনদেন AUSTRAC-এর নজরে আসায় অ্যাকাউন্টটি জব্দ করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহফুজের ভাই মাহবুব আলম মাহি। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” সঙ্গে তিনি ‘মিথ্যা অভিযোগের জবাব’ শিরোনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগের প্রসারে বনি আমিন বলেন, “শুধু একজন সমন্বয়ক নয়, বরং যারা এই সিস্টেমের অংশ হয়েছেন তাদের সবাইকে আর্থিক নজরদারির আওতায় আনা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “বিশেষভাবে হাতিয়ার সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের সম্পদও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।”
বনি আমিন এই বাস্তবতায় সততা ও আদর্শিক নেতৃত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অবস্থান কঠোর করার আহ্বান জানান।
তবে ঘটনাটি এখনো অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষের তদন্তাধীন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগপত্র বা মামলা গৃহীত হয়নি। ফলে বিষয়টি এখনো যাচাই-যোগ্য এবং সব পক্ষের বক্তব্য যাচাই করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের।