বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্টের কোটা পুনর্বহাল রায়কে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ৩৬ দিনের মাথায় রূপ নেয় এক বিরল গণঅভ্যুত্থানে, যা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাসনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সূচিত এই বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ থাকলেও, সরকারের অনীহা ও দমন-পীড়নের কারণে জুলাই মাসে সহিংস হয়ে ওঠে। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকার’ মন্তব্য এবং শিক্ষার্থীদের দাবি আদালতে ঠেলে দেওয়ার ঘোষণার পর আন্দোলন উত্তাল হয়। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়, পরদিন ১৬ জুলাই গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। সেদিন থেকেই আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে সরকার পতনের রূপ নেয়।
আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ ছয় নেতাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে জোরপূর্বক ভিডিও বার্তা দিতে বাধ্য করলেও আন্দোলন থামেনি। ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার আলোচনার প্রস্তাব আন্দোলনকারীরা প্রত্যাখ্যান করে একদফা সরকার পতনের ঘোষণা দেয়।
৪ আগস্ট দেশব্যাপী সহিংসতায় অন্তত ৯৩ জন নিহত হয়। পরদিন ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগমে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা ক্ষোভই এই গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি ছিল।