1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৩.৩১ নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া সীমান্তে ৮ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ ক্ষমতায় গেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতারা জীবিকার তাগিদে ডাকাত আতঙ্ক উপেক্ষা করে সুন্দরবনে জেলেদের প্রবেশ শ্যামনগরে বেড়িবাঁধের অবৈধ নাইন্টি পাইপ অপসারণ করায় পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি পাকিস্তানে সেনা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে পাঁচ সেনা নিহত ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নথি হস্তান্তর, চাকরি হারালেন কর কমিশনার মিতু একই প্রতিষ্ঠানে টানা দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না কেউ সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থী আল রাফি উদ্ধার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত শ্রীনগরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন বাবা

স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৩.৩১ নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২০ জন খবরটি পড়েছেন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। তিনি ২০১৬ সালে বিভাগটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে এক ছাত্রীকে প্রথম বানিয়ে নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫০ (৪ এর মধ্যে) চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফলের যেকোনো একটির আংশিক শিথিল করা যেতে পারে বলে একটি বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদী উল্লাহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যথাক্রমে ৩.৩১ ও ৩.৬৮ সিজিপিএ নিয়ে প্রভাষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন এবং বিশেষ যোগ্যতা (পিএইচডি, এমফিল, জাতীয় পুরষ্কার, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা) না থাকা সত্বেও তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে তিনি তার লেখা একটি বইকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখান৷বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে তিনি যে বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন সেটি জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত নয় বরং একটি প্রাইভেট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সেই নিয়োগ বোর্ডে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী এবং ভালো সিজিপিএ ধারী আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তাদেরকে বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে আবেদনের যোগ্যতা না থাকা মেহেদী উল্লাহকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

মেহেদী উল্লাহর বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজের পছন্দের এক ছাত্রীকে শিক্ষক বানাতে তাকে ১ম করে দেয়া এবং অন্যদের সিজিপিএ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৩.৫০ এর নিচে নামিয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তাকে একটি শিক্ষাবর্ষের সকল কোর্স থেকে বিরতও রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাঁধা প্রদানের গুরতর অভিযোগও রয়েছে ।

যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করে নিয়োগের বিষয়ে ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং অপপ্রচার। সমস্ত শর্ত পূরণ করে, লিখিত এবং ভাইভাতে প্রথম হয়ে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি।’

নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্য নয়। আমি কখনই এই ধরণের কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম না। নম্বর টেম্পারিং বিষয়টা কি, সেটাই আমি জানিনা। ‘

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।’

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews