1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে কুবি শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রচিন্তা - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে কুবি শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রচিন্তা

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩১ জন খবরটি পড়েছেন

আজ‚ সোমবার(১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘১৫ সেপ্টেম্বর’ তারিখে এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ।

দীর্ঘদিন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে আসলেও ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার ‘জুলাই গণ-অভ্যুথান’র মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশের জন্য মুক্ত গণতন্ত্র চর্চার একটি দ্বার উন্মোচন হয়। গণতান্ত্রিক এ আন্দোলনে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এই প্রতিবেদনে উঠে আসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের-(কুবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিচ্ছবি। শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেধাবীদের অংশগ্রহণ করার আকাঙ্খা পোষণ করেছেন। এ ছাড়াও একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা করা কথা উল্লেখ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রচিন্তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লাবিব বলেন‚ ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রচিন্তা গড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স, রিসোর্স এবং পরিবেশের উপর ভিত্তি করে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকায় কুবির শিক্ষার্থীদের নিজস্ব রাষ্ট্রচিন্তা গড়ে ওঠেনি, তবে বলবো দানা বাঁধছে। বর্তমানে রাষ্ট্রে যে বিভিন্ন পদক্ষেপ আসছে, এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষার্থীরা কথা বলা শুরু করছে, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীররা ব্যক্তিগতভাবে মডার্ন পলিটিক্স, ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স নিয়ে আলোচনা জারি রাখছে- তবে এটা সাংগঠনিকভাবে এবং মাস লেভেলে (জনপরিসরে) পৌছাতে সময় লাগবে।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইবনুল আরাবী বলেন‚ ‘আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণের একটি লাইনেই গনতন্ত্রের আত্মপরিচয় পাওয়া যায়। একটি সিস্টেমকে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করার জন্য সুষ্ঠু গনতন্ত্র চর্চার বিকল্প নেই। বিগত বছর গুলোতে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলো বিগত সরকার। দেশজুড়ে অস্থিরতা, অনিরাপত্তা, জুলুম, নিপীড়ন, অনিয়ম চরম মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিলো। সরকার ছিলো জনবিচ্ছিন্ন। গনতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিলো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। কিন্তু জনগনই যে সকল ক্ষমতার মূল সেটা বাংলাদেশের জনগণ ২৪ এর ৫ই আগষ্ট দেখিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন‚ ‘গনতন্ত্র ব্যাতীত কোনো সিস্টেমই সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ ভাবে চালানো সম্ভব না। সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন এবং জনগনের সাথে জনপ্রতিনিধির সহযোগিতামূলক আচরণ কেবলমাত্র গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই সম্ভব। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক অপরাজনীতির শিকার।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কোনো বৈধ প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষার্থীরা নানান অধিকার এবং আদর্শ শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত অপশক্তি দ্বারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের দ্বারা গনতন্ত্র চর্চা শুরু করা উচিত অবিলম্বে। রাষ্ট্রে সুষ্ঠু গনতন্ত্রের জন্য যথেষ্ট রাজনৈতিক জনসচেতনতা দরকার যা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী দ্বারা শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে দেশব্যপী নজির সৃষ্টি করতে পারি।

এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন‚ ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর নতুন সরকারের প্রতি জনগনের আকাঙ্খা অনেক বেশি। বর্তমানে যে দাবিটি বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো সুষ্ঠ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহিংসতার লাগাম টেনে ধরা। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এই উদ্যোগ কি কেবল সাময়িক সমাধান নাকি সত্যিকার প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ? কেননা গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি নিহিত রয়েছে স্বচ্ছতা, প্রতিযোগিতা আর সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণে। তাই এ সরকারের সফলতা মূলত নির্ভর করবে তারা কতটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে পারে তার ওপর।’

তিনি বলেন‚ ‘স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ সংবিধানে গণতন্ত্রকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে স্থান দিয়েছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে সেই অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। কিন্তু বাস্তবতায় আমরা দেখেছি- সামরিক শাসন, দলীয় একনায়কতন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম আর দুর্বল রাজনৈতিক সংস্কৃতি বহুবার জনগণকে হতাশ করেছে। ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন নতুন আশার সঞ্চার করেছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও দুর্বল নির্বাচন কমিশনের কারণে সেই আস্থা ক্রমশ ক্ষয়ে গেছে।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন‚ ‘গণতন্ত্র শুধু একটি তত্ত্ব নয়, বরং এটি স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, জবাবদিহতা আর মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা। অথচ ফ্রিডম হাউসের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে এখনও ‘পার্টলি ফ্রি’ বা আংশিক স্বাধীন দেশ বলা হয়েছে। অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের মতো ইতিবাচক দিক থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা ভবিষ্যতের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা।’

তিনি আরও বলেন‚ ‘এ অবস্থায় করণীয় বেশ কিছু বিষয় সামনে আসে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সরকারকে কার্যকরভাবে ক্ষমতায়ন করা। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি তথ্যভিত্তিক বিতর্ক আয়োজন করে, সামাজিক সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয় এবং সুষ্ঠ ভোট বাস্তবায়নে সজাগ হয় তাহলেই গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত হবে।’

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews