লোহাগড়া প্রতিনিধি। লোহাগড়া উপজেলা সদরের আলামুন্সির মোড় এলাকায় একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন মাছের আড়ত থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন লোহাগড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মিলু শরীফ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত পহেলা বৈশাখের পর থেকে মিলু শরীফ তার লোকজন পাঠিয়ে খাজনা দাবি করতে থাকেন। কোনো সরকারি বা পৌর ডকুমেন্ট না দেখিয়েই তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয় বলে দাবি আড়তদারদের। এ ঘটনায় বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছেন আড়তের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা।
মায়ের ভান্ডার মৎস্য আড়তের মালিক ফারুক শেখ বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত জায়গায় ব্যবসা করি। পৌরসভা বা কারো কাছে খাজনা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তারা কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও জোর করে টাকা নিয়েছেন।”
একতা মৎস্য আড়তের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস রবিন জানান, “তিন বছর ধরে ব্যবসা করছি, কোনোদিন খাজনা দিতে হয়নি। এবার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বললে পরিণাম ভালো হবে না—এমন হুমকিও দিয়েছে।”
অন্যদিকে, মিলু শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু সমন্বয়ের কাজ করেছি। টাকাগুলো আমার মাধ্যমে পৌরসভায় জমা দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো টাকা নেইনি বা খাজনা তুলি নাই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র বলেন, “পৌরসভার আওতায় সাতটি হাটবাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই। আলামুন্সির মোড়ের আড়ত পৌরসভার তালিকায় নেই।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয় এই আড়তে। এক হাজারেরও বেশি মানুষের জীবিকা এর সঙ্গে জড়িত। নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের ঘটনায় ব্যবসা এখন চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে।