1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
পরিবর্তন ও আত্ম-উপলব্ধির উপাখ্যান: কাহলিল জিবরানের 'ভয়' কবিতা  - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি: সালথায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার বুক ও গলায় চাপ দিয়ে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করে ওসি প্রদীপ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে বাংলাদেশের চিঠি রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে অবরোধ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শ্যামনগর ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ মেহেরপুরে অবৈধ রং উৎপাদনে নিভালাক পেইন্টসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত, দুজন আশঙ্কাজনক ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে দুই ভূমিকম্প, বাংলাদেশে আগের কম্পনে ১০ মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আইরিশদের বড় ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ

পরিবর্তন ও আত্ম-উপলব্ধির উপাখ্যান: কাহলিল জিবরানের ‘ভয়’ কবিতা 

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৪৬ জন খবরটি পড়েছেন

মোঃ আব্দুল আউয়াল

(কাহলিল জিবরান (Kahlil Gibran) ছিলেন একজন বিখ্যাত লেবানিজ-আমেরিকান কবি, লেখক, শিল্পী এবং দার্শনিক।)

কাহলিল জিবরানের কাব্যিকতা সর্বদা গভীর আধ্যাত্মিক এবং দার্শনিক উপাদানে সমৃদ্ধ। তাঁর সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী কবিতা ‘ভয়’ (Fear) জীবন, মৃত্যু, পরিবর্তন এবং পরিচিতি হারানোর শাশ্বত ভয়কে এক মনোহর উপমার মধ্য দিয়ে বর্ণনা করে। নদীর সাগরে প্রবেশ করার এই দৃশ্যকল্পটি মানব অস্তিত্বের এক অনিবার্য সত্যকে তুলে ধরে – পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে আমরা জীবনের বৃহত্তর অর্থে নিজেদেরকে আবিষ্কার করতে পারি। 

কবিতার শুরুতে নদী তার যাত্রাপথের শেষ প্রান্তে এসে ভয়ে কেঁপে ওঠে। এই ভয়কে জিবরান এভাবে চিত্রিত করেন: “It is said that before entering the sea / a river trembles with fear.” নদী তখন পেছনে তাকায়, পর্বতশৃঙ্গ থেকে নেমে আসা আঁকাবাঁকা পথ, বন ও গ্রাম পেরিয়ে আসা তার দীর্ঘ পথচলার স্মৃতিতে। আর সামনে তার জন্য অপেক্ষা করছে বিশাল, বিস্তৃত এক সাগর। সেই সাগরকে দেখে নদীর মনে হয়, “to enter there seems nothing more than to disappear forever.” এই ভয় মানবজীবনের সেই চরম মুহূর্তগুলির মতো, যখন কোনো বড় ঝুঁকি নিতে হয় বা চূড়ান্ত সত্যকে মেনে নিতে হয়। 

এ ভয় পরিচিতি হারানোর উদ্বেগ

নদীর ভয় মূলত তার স্বতন্ত্র পরিচিতি হারানোর ভয়। সে দীর্ঘকাল ধরে “নদী” হিসেবে পরিচিত ছিল, কিন্তু সাগরে মিশে গেলে তার এই স্বতন্ত্র রূপ আর থাকবে না। এই উদ্বেগ মানব মনের সেই ভয়কে প্রতিফলিত করে, যখন মানুষ তার অর্জিত পরিচিতি বা সীমিত অহংকে ত্যাগ করতে ভয় পায়।

কবিতাটির গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন জিবরান জীবনের অপরিবর্তনীয়তা ও অনিবার্যতাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঘোষণা করেন:

“But there is no other way. / The river can not go back. / Nobody can go back. / To go back is impossible in existence.” 

এই বাক্যগুলি জীবনের প্রবাহকে থামানো বা পিছিয়ে যাওয়া যে সম্ভব নয়, সেই কঠিন সত্যটি তুলে ধরে। জীবনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই, এবং এই ঝুঁকি গ্রহণ করাই হলো অস্তিত্বের শর্ত।

কবিতার শেষ চরণগুলো জিবরানের দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। তিনি দেখান যে ভয়কে অতিক্রম করার একমাত্র পথ হলো সাহসের সঙ্গে সেই অজানা পথে এগিয়ে যাওয়া। যখন নদী সাহসিকতার সাথে সাগরে মিশে যায়, তখনই সে বুঝতে পারে যে তার ভয় ভিত্তিহীন ছিল। তার এই উপলব্ধি জিবরান স্মরণীয় বাক্যে তুলে ধরেছেন:

“The river needs to take the risk / of entering the ocean / because only then will fear disappear, / because that’s where the river will know / it’s not about disappearing into the ocean, / but of becoming the ocean.”

এই রূপান্তর আমাদের শেখায় যে, জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলিই শেষ পর্যন্ত আমাদের মুক্তির পথ খুলে দেয়। নদী তার ‘নদীত্ব’ হারায় বটে, কিন্তু সে ‘সাগরত্ব’ লাভ করে—যা হলো আত্ম-উপলব্ধি এবং বৃহত্তর সত্তার সঙ্গে একাত্মতা।

‘ভয়’ কবিতাটি একটি জীবনের দর্শন। কাহলিল জিবরান আমাদের শেখান যে, জীবনের অনিবার্য পরিবর্তনগুলির সামনে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু এই ভয়কে অতিক্রম করতে হলে এগিয়ে যেতে হবে। সাগরে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে নদী যেমন তার পরিপূর্ণতা লাভ করে, তেমনি মানুষও ভয়কে আলিঙ্গন করে ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে তার ক্ষুদ্র পরিচিতি ছেড়ে বৃহত্তর অস্তিত্ব ও মুক্তির পথে ধাবিত হয়।

লেখক- অধ্যক্ষ,ছাতিয়ানতলা স্কুল এ্যান্ড কলেজ

বাঘারপাড়া,যশোর। ২৪/১০/২৫ ইং।

তথ্যসূত্র (References)

১. জিবরান কাহলিল। “Fear” (ভয়)। Collected Works of Kahlil Gibran (বিভিন্ন সংকলনে অন্তর্ভুক্ত)।

​২. সাহিত্য বিষয়ক অনলাইন আর্কাইভ (Online Literary Archives)। “Fear by Kahlil Gibran: Analysis and Text.”

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews