প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশবাসীকে অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষার জন্য নতুনধারার ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন, কড়াইল বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ ৭ দাবি করেছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ।
চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার গাজী মনসুর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা ও ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, পোড়া এলাকাটি দেখে কেবল এই কথাই মনে হয়েছে যে, জাতি হিসেবে আমরা বড় অসহায়। তা না হলে ফায়ার হাইড্রেন্ট-এর দাবিতে ‘ প্রতীকী ফায়ার হাইড্রেন্ট’ মিছিল করে, স্মারক লিপি প্রদান করেও কোনো রেজাল্ট ঘরে নিতে পারেনি নতুনধারার রাজনীতিকরা। বরং সাবেক মেয়র আতিকের একটা তামাশা দেখেছিলাম ‘ফায়ার হাইড্রেন্ট’ স্থাপনের নামে। মানুষ কতটা অসহায়, তা এই অগ্নিকাণ্ড আবারো প্রমাণ করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন- নতুনধারার ৭ দফা বাস্তবায়িত হলে আর যাই হোক অগ্নিকাণ্ডটি দীর্ঘ সময় নিয়ে চলবে না।
আমাদের ৭ দফা হলো- ১, রাজধানী ঢাকাসহ সকল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে উন্নত দেশের আর্থিক সহায়তা নিয়ে হলেও এটি অর্ন্তবর্তী কালিন সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. সকল কল-কারখানার ফায়ার অনুমোদন সঠিক কি না তা ক্ষতিয়ে দেখতে বিশেষ টিম করে পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিতে হবে। ৩. বঙ্গবাজারের মত ঘিঞ্জি এলঅকা থেকে ফায়ার সার্ভিস সেন্টার সাবেক গণভবনে স্থানানস্তর করতে হবে। তাহলে এই এলাকা থেকে যেখানে প্রয়োজন দ্রুত যেতে পারবে ফায়ার সার্ভিস টিম ৪. ফায়ার সার্ভিস অনুমোদন দুর্নীতিহীন করতে ফায়ার সার্ভিসে সেনা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি সর্বাত্মক নজরদারির আওতায় আনতে হবে। ৫. আবাসিক এলাকায় কল-কারখানা অনুমোদন দেয়া বন্ধ করতে হবে। ৬. আন্তর্জাতিক মানের সরঞ্জাম ও বাহন যুক্ত করতে হবে ফায়ার সার্ভিসে। ৭. অবশ্যই সাধারণ মানুষকে সচেতন ও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা এবং পাঠ্যবইয়ে অগ্নিকাণ্ডরোধে করণীয় যুক্ত করতে হবে।
বিবৃতিতে নতুনধারার চেয়ারম্যান বলেন, নির্মম অগ্নিকাণ্ডটি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতা কোনো কথা বলেনি এখানো; কারণ তারা রাজনৈতিক দল করেছে ক্ষমতায় আসার বা থাকার জন্য। জনগণের কল্যাণের জন্য নয়।