১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বাঘারপাড়ায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন বাঘারপাড়ার কৃতসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ বিশ্বাস। মুক্ত বাতাসে উড়তে থাকে বাঘারপাড়া মুক্ত দিবসে দেশের লাল সবুজ পতাকা।
আজিজ বিশ্বাসসহ স্থানীয় দামাল ছেলেদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় ৮ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া মুক্ত দিবস।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল আজিজ বিশ্বাস এদিন বাঘারপাড়া পাইলট স্কুল মাঠে সহযোদ্ধাদের নিয়ে নিজ জন্মভূমিতে স্বাধীন দেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে স্থানীয় মুক্তিকামী সাধারন জনতা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে গগনবিদারী জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন স্কুল মাঠ । ক্রমান্বয়ে জয় বাংলা শ্লোগান আর বিজয় উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা বাঘারপাড়ার জনপদ।
উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ বিশ্বাস জানান, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে স্থানীয় রাজাকার ও পাকহানাদার বাহিনী নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের মালঞ্চী এলাকা দিয়ে যাওয়া ১০৫ জন মূক্তিযোদ্ধাকে ধরে ফেলে এবং তাদের শ্রীরামপুর স্কুল মাঠে নিয়ে যায়। এরপর তাদের কে নারিকেল বাড়িয়া হাইস্কুল রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে অস্ত্র কেঁড়ে নিয়ে তাদের অর্ধেক সংখ্যক কে ওই রাতেই হত্যা করে । বেঁচে থাকা অন্যদের যশোর ক্যান্টনমেন্টে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই তাদের নির্মম ভাবে হত্যা করে পাক হানাদারেরা।
এরই একপর্যায়ে ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল আজিজ বিশ্বাস সহযোদ্ধাদের নিয়ে স্থানীয় পাইলট স্কুল মাঠে স্বাধী দেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে বাঘারপাড়া থানাকে পাক হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন।