ডেস্ক রিপোর্ট।।
‘’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গান একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কী ভূলিতে পারি’’ ভাষাদিবস নিয়ে কালজয়ী গানের রচয়িতা সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বুধবার রাতে লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাংবাদিক স্বদেশ রায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই নানান অসুস্থ্যতায় ভোগছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর গাফফার চৌধুরীর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা জোহরা খাতুন। পিতা ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী ছিলেন ব্রিটিশশাসিত ভারতের একজন মুক্তিসৈনিক।
১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করা গাফফার চৌধুরী ‘জয় বাংলা’, ‘যুগান্তর’ ও ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকাসহ ঢাকার বিভিন্ন কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন ।
স্বাধীনতার পর, ১৯৭৪ সালের ৫ অক্টোবর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিনি সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। সেখানে ‘নতুন দিন’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। প্রায় ৩৫টি বই লিখেছেন তিনি। নিয়মিত কলাম লিখছেন ঢাকা ও কোলকাতার বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইনে; বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের ওপর গাফফার চৌধুরী একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন, ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’। বঙ্গবন্ধুর ওপরেই আরেকটি চলচ্চিত্র, ‘দ্য পোয়েট অব পলিটিকস’ প্রয়োজনা করছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতির জন্য জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য হল, বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক, ইউনেসকো সাহিত্য পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পদক (২০০৯)।