কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিরাগত উচ্ছৃংখল ছাত্রদের সন্ত্রাসী হামলা/ভাঙচুর ও প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীর পক্ষে বলা হয়েছে, বর্তমান বিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সুন্দরভাবে পরীক্ষা চলছে। এটা নিয়ে আর আতঙ্ক নেই। আমরা বিভিন্নভাবে জেনেছি পরীক্ষার ফি বেশি নেওয়া হয়নি। বহিরাগতদের উস্কানিতে বিদ্যালয়ে ভাংচুর করায় থানায় অভিযোগ করার জন্য আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পরিশেষে বিদ্যালয়ের মঙ্গল কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আজীম উদ্দিন বলেন, সন্মানিত রাজিবপুর উপজেলাবাসী আজকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি, কিছু বিষয় আপনাদের অবগত করার জন্য। আপনারা জানেন গত (৪ জুন ২০২২) শনিবারে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০ ঘটিকার সময় অর্ধবার্ষিক চলাকালীন অবস্থায় বহিরাগত উচ্ছৃংখল ছাত্র, সাংবাদিক, অভিভাবক আমি ইতিমধ্যে তাদের চিহ্নিত করেছি। তাদের উস্কানিতে ছাত্রদেরকে ভুল বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষক পনেরশত টাকা নিচ্ছে এই মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করে ছেলেদের উত্তেজিত করে পরীক্ষার হল থেকে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ইউএনও;র সাথে মত বিনিময় করার আগেই তাদের স্লোগান শিখিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক পনেরশো টাকা পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে আমরা পরীক্ষা দেবো না এছাড়াও শিক্ষকদের নামে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দিয়ে বিদ্যালয় প্রবেশ করায়। ছাত্ররা বলেছিল আমরা ইউএনও স্যারের সাথে মত বিনিময় করে দেখি কি বলে কিন্তু তাদের কথা মানা হয়নি। উস্কানীদাতারা তাদেরকে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করিয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে খাতা পত্র, বিদ্যালয়ের দরজা,জানালা ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েদের রুম থেকে বের করে দেয়। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে এবং আমার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি, পরে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল যে আমি পনের শত টাকা পরীক্ষার ফি নিচ্ছি। কিন্তু আদো একথা সত্য নয়, বানোয়াট, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।অন্য অন্য স্কুলের সাথে সমঝোতা বজায় রেখে আমরা শিক্ষক মিলায়াতনে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষার ফি,সেশন চার্জ ও অন্যান্য ফি নির্ধারণ করে দিয়েছি। এখানে কিছু সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে টাকা বেশি নেওয়ার, কোথাও দূর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না নিয়ে বা না দেখিয়ে টাকা বেশি নেওয়া মিথ্যা প্রচার করা আইনত শুদ্ধ নয় এটা আমার সম্মানহানি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক ও বিদ্যালয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমার বিদ্যালয়টি যাতে সরকারিকরণ না হয় তাই তারা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করব। বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা শান্ত রয়েছে। পরীক্ষার ফিস, সেশন চার্জ ও অন্যান্য ফিস দিয়ে সতস্ফুর্ত ভাবে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে।