ডেস্ক রিপোর্ট।।
দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া বিষয়ের ক্লাস নিতে হবে। এ বিষয়ের ক্লাস প্রতিদিনের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এছাড়া প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে রুটিন করে সরাসরি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মাউশি থেকে সব মাধ্যমিক স্কুল, দাখিল। মাদরাসা ও ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার নির্দেশনাটি প্রকাশ করেছে অধিদফতর।
এতে বলা হয়েছে, শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকরা প্রতিদিন সমাবেশসহ রুটিন অনুযায়ী শারীরিক শিক্ষার ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলায় প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে রুটিন করে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিদিনের ক্রীড়া বিষয়টি ক্লাস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ জন্য শ্রেণিভিত্তিক অথবা বিদ্যালয় ভিত্তিক ক্রীড়া টিম গঠন করতে হবে। টিম গঠন করার জন্য শারীরিক শিক্ষার ওয়েবসাইটে (www.phyedu.org) বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা আছে। আগামী গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়ায় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে ক্রীড়ার অংশগ্রহণ করা যাবে না। টিম গঠন করার জন্য পূর্বের নির্দেশনাটি সংযুক্ত করে দেয়া হলো।
নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের নিজ বিষয়ের সকল দায়িত্ব পালনে বাধ্য করবেন।
অধিদফতর জানিয়েছে, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে ক্রীড়া বিষয়ে লেখালেখি, ক্রীড়া কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য এবং ক্রীড়া বিষয়ে ভিডিও প্রদানের জন্য একটি ‘মাইক্রো ব্লগ সাইট ওপেন করা হয়েছে। শারীরিক শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ব্লগে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করে ক্রীড়া বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং এ সম্পর্কিত কার্যাবলি ব্লগে প্রকাশ করবেন।
অধিদফতর আরো বলছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের সমন্বয়ে ক্রীড়া ফান্ডের জন্য ব্যাংকে আলাদা হিসাব খুলতে হবে (প্রধান শিক্ষক এবং শারীরিক শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে)। ওই টাকা থেকেই বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনাসহ প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়ার উন্নয়নে অর্থ ব্যয় রতে হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে ওয়েবসাইটের অভিযোগ বাক্স মেন্যুতে গিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে হবে। সকল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মনিটরিং করবেন।