ডেস্ক রিপোর্ট।।
মোংলা পৌরসভার পানিশোধন ও সরবরাহ কেন্দ্রে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি প্রকল্পে দূর্নীতির ঘটনা ফাঁস হওয়ার দীর্ঘ ১২ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন তদন্ত করেছে।
লবণপানি থেকে মুক্তি মিলছে না মোংলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় নদী ও পুকুরের পানিতে প্রচণ্ড লবণাক্ততায় দিশেহারা উপকূলের বাসিন্দারা।
মোংলা পোর্ট পৌরসভা ও উপজেলাবাসীর বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে ২০০৫ সালে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরু হয়। পরে ২০১০ সালে জনস্বাস্থ্য বিভাগ সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করেই কার্যক্রমটি হস্তান্তর করলে আবারও ২০১৬ সালে ৮৪ একর জমিতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়। মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র শেখ আ. রহমানের দাবি, ২০১৮ সালে পুকুর খননের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তাদের বুঝিয়ে না দিয়ে প্রকল্পের জামানতসহ সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র শেখ আ. রহমানের দাবি, ২০১৮ সালে পুকুর খননের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তাদের বুঝিয়ে না দিয়ে প্রকল্পের জামানতসহ সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ৩১ মার্চ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেয় মোংলা পোর্ট পৌরসভা। এ নিয়ে সময় টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচার হলে নড়েচড়ে বসে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার বিকেলে কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন তদন্ত করে।
মোংলা পোর্ট পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বসবাস।