গোলাম কবীর,বুটেক্স প্রতিনিধি।।
সময়টা ২০২০ সাল। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ প্রকোপতা যখন চারদিকে,স্থবির,দুর্বিষহ জনজীবন,প্রকৃতিতে তখন বিরাজমান নিস্তব্ধতা, লকডাউনের বেড়াজালে যখন সবাই বন্দি,অনিশ্চিত এদেশের লাখো কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ, স্বপ্ন পূরণের তীব্র আকাঙ্ক্ষার মাঝে যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়ে গেল কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস)।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ,শিক্ষার্থীরা গৃহবন্দী। গৃহে বন্দি থেকে কিভাবে করবে পড়াশোনা,, কিভাবে হবে স্বপ্নপূরণ?? গৃহবন্দি শিক্ষার্থীদের ত্রাতা হয়ে আগমন হলো পাঠদানের এক অনলাইন প্লাটফর্ম। ‘বন্দিত্বই যখন মুক্তির শক্তি’ তাই এই প্লাটফর্মের নাম “বন্দি পাঠশালা”।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বুটেক্স) কয়েকজন স্বপ্নদ্রষ্টা শিক্ষার্থীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফলে অল্প কয়েকদিনের মাঝেই দেশের লাখো কোটি গৃহবন্দী শিক্ষার্থীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের এই প্লাটফর্মটি। সময়ের সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে এই প্লাটফর্মটি পৌঁছে গেছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।” গ্রাম কিংবা শহর,সবার জন্য শিক্ষা হোক সহজ থেকে সহজতর”- এই ভিশনকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অফলাইনেও এই প্লাটফর্মটির কার্যক্রম চলমান।ঢাকাসহ ঢাকার বাইরেও রয়েছে ‘বন্দি পাঠশালা’র শাখা।
বন্দি পাঠশালার নতুন সংযোজন হলো পাঠাগার ব্যবস্থাপনা,এই পাঠাগার থেকে গরীব,মেধাবী এবং প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নামমাত্র মূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করতে পারবে। বর্তমান যুগে অগ্রসর শিক্ষাব্যবস্থায় সেরা শিক্ষক প্যানেল এখন “বন্দি পাঠশালা” র। একাডেমিক ও এডমিশন নামে দুইটি প্রোগ্রাম এখন চলমান আছে যেখানে অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় পনের লাখ শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধান করছে “বন্দি পাঠশালা”। এছাড়াও অনেকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমও এই “বন্দি পাঠশালা”।