একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা কৃষক বজলু খান
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
ইরি ধানের ক্ষেতের আগাছা দমনে ব্যবসায়ীর দেওয়া ভুল কীটনাশক প্রয়োগে ১ একর জমির ধান পুরোটাই জ্বলে নষ্ট হয়ে গেছে। নিজের একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা কৃষক বজলু খান।
প্রথম দিকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও এখন বেঁকে বসেছেন সুবিদখালী বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা মতি হাওলাদার। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কপালভেড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক বজলু খান গত রবিবার (২ অক্টোবর) মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কপালভেরা গ্রামের কৃষক বজলু খান গত ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা সদরের সুবিদখালী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মতি হাওলাদার কাছে গিয়ে ক্ষেতের আগাছা দমনের জন্য কীটনাশক চান। বিক্রেতা পিকোয়াট ‘ ২০ এসএলথ নামে একটি কীটনাশক ধরিয়ে দিয়ে কার্যকারিতার ‘গ্যারান্টি দেন। বিক্রেতার কথামতো বজলু পরদিন ওই কীটনাশক ১ একর (১০০ শতক)ইরি ধানের ক্ষেতে স্প্রে করেন। এরপরদিন সকালে তিনি জমিতে গিয়ে দেখেন তার পুরো জমির ধানগাছ জ্বলে নষ্ট হতে শুরু করেছে।
বজ্রাহত কৃষক বিষয়টি অতিদ্রুত কীটনাশক বিক্রেতার কাছে গিয়ে বিস্তারিত জানান। কৃষকের সব কথা শুনে ওই বিক্রেতা কৃষককে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন এবং ধানগাছের চারা সতেজ করতে আরও কিছু পরামর্শ দেন। কিন্তু দিনকয়েক গড়ালে কীটনাশক ব্যবসায়ী মতি ক্ষতিপূরণের কথা অস্বীকার করতে শুরু করেন এবং তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন । এ অবস্থায় কৃষক প্রতিকার চেয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ী মতি হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।