স্টাফ রিপোর্টার।
ভ্যান চালিয়ে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৩২ শতক জমিতে পেঁপে চাষ করেছিলেন অতি দরিদ্র ভ্যানচালক মোশারেফ মোল্যা। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। চাষ করেছিলেন উন্নত জাতের পেঁপে। গাছে ফলন ও হয়েছিলো ভালো। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে চুরমার মোশারেফের ক্ষেতের সব পেপে গাছ।
বিরান হয়ে যাওয়া পেঁপে বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে মোশারেফ মোল্যা বলেন, ক্ষেতে একটা গাছ ও আর অবশিষ্ট নেই। ৪ লাখ টাকার পেঁপে সিত্রাং ঝড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। সিত্রাং আমারে একেবারে নিঃস্ব করে দিলো। কীভাবে এখন আমি ঋণের টাকা শোধ দেব জানিনা। ভ্যান চালিয়ে সংসারই চলেনা তার উপরে ঋণের বোঝা !
মোশারেফের ক্ষেতের পাশের পেঁপে চাষি ইকরাম বিশ্বাস, ইলিয়াস মোল্যা,সালাম মোল্যা সহ অনেকের ক্ষেতে ক্ষতি তেমন একটা না হলেও গুড়িয়ে গেছে ভ্যান চালক মোশারেফের ক্ষেত। এসব চাষিরা জানান, ভাগ্যগুনে আমাদের ক্ষেত বেঁচে গেলেও রেহাই পাইনি মোশারেফের পেঁপে বাগান।
মোশারেফ মোল্যা জানান, পেঁপে বাগেনে স্বপ্ন দেখেছিলাম । এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করা পেঁপে গাছে প্রচুর ফল এসেছিলো, সবে মাত্র দু’তিন বারে পেঁপে বিক্রি করে হাজার পঞ্চাশ মতো টাকা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মতো গরীব ভ্যানচালকের ভাগ্যে সইলো না। সিত্রাং আমারে একেবারে নিঃস্ব করে পথে বসাইয়া দিলো।
নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোহাগ খাঁন বলেন, দরিদ্র ভ্যানচালক মোশারেফ মোল্যার পেঁপে বাগানটি সিত্রাং ঝড়ে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে দিয়েছে।
নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব না। তবে আমরা তাকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।