1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
১৫ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর দাদি-নাতির বিয়ে বিচ্ছেদ - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্যামনগরে যুব বিভাগের মাদকবিরোধী র‍্যালি তিন খুনের স্বীকারোক্তিমূলক আসামি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন কুড়িগ্রাম উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ম দিনে অনুপস্থিত ৬৬, বহিষ্কার ২ নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়লাভ ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ: নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল করুন পদ্মায় ধরা পড়ল ২১ কেজির কাতল মাছ, বিক্রি ৩৮ হাজার টাকায় ইসরায়েলি গোয়েন্দার অডিও ফাঁস: “তালিকায় আছো, পালাও” নতুন বাংলাদেশ দিবস ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের নির্দেশনা জারি চীনকে ইঙ্গিত? নিজ ভূখণ্ডে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল জাপান ইন্দিরা সরকারের অধীনে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ: এক গ্রামের ত্যাগ ও ট্র্যাজেডি

১৫ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর দাদি-নাতির বিয়ে বিচ্ছেদ

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ৫১৪ জন খবরটি পড়েছেন

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চাঞ্চল্যকর দাদিকে নাতির বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় ভেঙেছে তাদের সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে দাদি সামসুন্নাহার ঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। নাতি মিরাজ নিজের বাড়িতেই আছেন। তবে তাদের বিচ্ছেদের খবরে খুশি এলাকাবাসী।

দাদি-নাতির বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়টি বুধবার (৭ জুন) জাগো নিউজকে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম আলেম মো. মুছা।
তিনি বলেন, দাদি-নাতির বিয়ে শরিয়তে জায়েজ নেই। তাই মঙ্গলবার স্থানীয় আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মিলে তাদের নিয়ে বসেন। শরিয়তের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সামনে সংসার বিচ্ছেদ করে দুজনই নিজেদের আলাদা বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন, মো. শহিদ ও মো. ইলিয়াস জানান, ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেন দাদি-নাতি। এ বিয়ে শরিয়তে সম্পূর্ণ অবৈধ। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার তাদের বিচ্ছেদ হয়। এতে করে আমরা মনে করি এলাকা থেকে একটি পাপ দূর হয়েছে। কারণ তাদের সংসার যদি বেশি দিন থাকতো তাহলে আরও অনেক দাদি-নাতি এমন ভুল করে ফেলতেন।

তারা আরও জানান, তাদের বিয়ের খবরে যেমন বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছিল, বিচ্ছেদের খবরেও ভিড় জমছে।
মিরাজের বাবা মো. জসিম মাঝি বলেন, মঙ্গলবার আমরা বিয়ের বিষয় নিয়ে বসি। পরে তাদের বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উভয়ের সম্মতিতে এ বিচ্ছেদ হয়েছে।

২১ মে দাদি সামসুন্নাহার ও নাতি মিরাজ ভোলা পৌর শহরে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। দাদি-নাতির ওই বিয়েতে দেনমোহর ঠিক হয় ৭ লাখ টাকা। পরে ওই দিনই তারা ভোলাতেই একটি কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। এরপর তারা দুজনই গ্রামের বাড়িতে ফিরে এলে মিরাজের পরিবার তা মেনে নেয়নি। কারণ সামসুন্নাহার মিরাজের আপন দাদা শাহে আলম ব্যাপারীর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে দাদার মৃত্যুর পর তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহারের দেখাশোনা করেন মিরাজ। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাদের বিয়ের পর থেকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews