বিলাল মাহিনী
দীপালি দীপাকে বললো, শোন- এই যে আমি এখন যে বাড়িতে থাকছি, এটা আমার বাবার বাড়ি খাওয়া-দাওয়া যা করছি সব বাবার হোটেলে গায়ে যে কাপড়-চোপড় দেখছিস পায়ে জুতা-স্যান্ডেল পরছি স্নো-পাউডার থেকে শুরু করে সব প্রসাধনী- সব বাবা-ভাইয়ের টাকায় বলতে পারিস, তাদের দয়ায়! এখানে আমার বলতে কিচ্ছু নেই, না; আমিও আমার নই কী বলিস! তুইও তোর নস?
জানতে চাইলো দিপা মাথা নেড়ে দীপালি জানালো- ঠিক শুনেছিস, আমিও আমার নই আচ্ছা বলতো, তুই কি তোর আছিস? তুই কি তোর মতো করে পৃথিবীকে দেখতে পারিস? চাইলেই কি শুকতারা দেখতে দেখতে একাকী ভৈরব পাড়ে বসে চঞ্চু ভিজিয়ে ভিজিয়ে একটা উষ্ণ কফি খেতে পারিস? না, পারিস না। কারণ- তুই তোর না তুই তোর বাবা, ভাই, চাচা, মা-খালাসহ তোর আত্মীয়দের এই সমাজের! আরও দেখ্- এই যে দু’দিন বাদে আমার বিয়ে বিয়ের পর যে বাড়িতে মুটামুটি বাকি জীবনের জন্য ঠাঁই হবে, সেটা আমার স্বামীর বাড়ি, তবে, আমার বাড়ি কই? আমি চাইলেই কি স্বামীর অনুমতি ছাড়া বেরুতে পারবো ঘর থেকে? আমার সত্তা বলে কীই-বা রইলো? আমার স্বাধীনতা, আমার পৃথিবী কই, কোথায় আমার আমি?