1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অভয়নগরে নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীন:খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেলেন তারেক রহমান কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে ভারত পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ সতর্ক বার্তা ধোপাদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মফিজুর রহমান বাঘারপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই দিনমজুরের বাড়িসহ গবাদিপশু

অভয়নগরে নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীন:খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
  • ৯০ জন খবরটি পড়েছেন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
যশোরের অভয়নগরে নিত্যপণ্যের ম‚ল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। ফলে খেটে খাওয়া মানুষের পারিবািরক খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস হচ্ছে। বাজারদর নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজন মনিটরিং। সেদিকে প্রশাসনের কোনো খেয়াল নেই। নিত্যপণ্যের মধ্য ঝাল,পিঁয়াজ, রসুন, আলু,পেপে,বেগুন,লাউ,ডিম,শসাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর গরীবের আমিষের অন্যতম উৎস ডিমও পাতে জুটছে না। প্রতি হালি ডিম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা,পেপে ৫০ থেকে ৭০ টাকা,শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর হঠাৎ করে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কমে যায়। এছাড়া বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে গেছে। বাজারে চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে।

ভাটপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক বিপুল বিশ্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে ডাউল আর দুই কেজি চাল কিনলে টাকা শেষ, আর কিছু কেনার টাকা থাকেনা, বাজারে জিনিস পত্রের যে দাম পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরা ছাড়া উপায় নেই, সরকারের আমাদের দিকে কোন খেয়াল নেই, বাঁচা বড় দায়। এ রকম একই অভিযোগ ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক থেকে শুরু করে নিন্ম আয়ের প্রতিটি নাগরিকের, যাদের কষ্টের কোন শেষ নেই। অসাধু ব‍্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও কিছু দায়িত্বশীল অসাধু বাজার মনিটরিং ব্যক্তিদের যোগসাজশে অভয়নগর উপজেলার বাজার গুলোতে দ্রব্যমূল্য এখন হযবরল অবস্থা বিরাজ করলেও দামের লাগাম টেনে ধরার কোনো ব‍্যবস্থা হবে বলে একাধিক নিন্ম আয়ের মানুষ সন্দিহান। তাই তারা জীবন আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে বোবা কান্না করে চলেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা বাজার মনিটরিং বিষয়ে নাগরিক সমাজ মনে করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কর্তা ব‍্যক্তিরা হয়তো ঘুমিয়ে আছেন। সাধারণ জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোয়া হওয়ার কারণে সরকারকে দোষারোপ করে বিলাপ করতে থাকলেও কারো কিছু যায় আসেনা। সচেতন মহল জরুরি ভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারসহ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অভয়নগর উপজেলা প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন।

এবিষয় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ জানান, দ্রব্যম‚ল্য উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা নেই। কেউ যদি অভিযোগ করে তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো, এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় । তবে বাজার মনিটরিং কমিটি প্রতি মাসে মিটিং করে থাকে।

গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রব‍্যমূল‍্য নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন আমরা নিয়মিত বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকি এবং অভিযান সব সময় অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews