স্থানীয় ব্যাক্তিদের অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের করার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। পানি না কমায় স্কুলসহ প্রায় ১৫ টি বসতবাড়ি পানিতে ভাসছে। এতে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার বাররা এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসির অভিযোগ, বাররা এলাকার আইয়ুব বিশ্বাস, খালেক মোল্যা, আক্তার বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাক্তি এলাকার পানি বের হওয়ার জায়গায় ঘের করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একারণে প্রায় ১৫ টি বসতবাড়ি ও বাররা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনাইটেড নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে দুই বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঘেরের বাঁধ না কাটলে পানি বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘের মালিকদের বিষয়টি জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না ।
পানিবন্দি বাররা এলাকার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রান্নাঘর, বাথরুম, গোলায়ঘর, বসতঘরসহ সব জায়গায় হাঁটু পানি। নিরুপায় হয়ে গ্যাস ও চুলা কিনতে হয়েছে। ঘেরের কারণে পানি বের হতে পারছে না। চরম বিপদে আছি।
বাররা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের ঘেরের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ধলগা রাস্তা-বসুন্দিয়া সড়ক ছিদ্র করে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঘের মালিক আইয়ুব বিশ্বাস ও আক্তার বিশ্বাসের মুঠোফনে একাধিকবার কল করা হলে তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ তদন্তে তহসিলদারকে পাঠানো হয়েছে। জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী এমন ব্যাক্তিদের সনাক্ত করে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।