1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
স্বপ্নে বিজয় দিবস - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ হাই ভ্যালু’ বন্দিদের শক দেয়ার চেয়ার, আয়নাঘরে বিস্ফোরক তথ্য মায়ের শেষ ইচ্ছাপূরণ: সীমান্ত কাঁটাতারও হার মানলো মেয়ের ভালোবাসার কাছে শরণখোলায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু বাউবি যশোর আঞ্চলিক কেন্দ্রে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নিহতদের মধ্যে ১২ শতাংশ শিশু: জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূসের বিস্ফোরক অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে থানায় হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর মাদক-সন্ত্রাসে জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য গাজায় জিম্মি মুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা, সংঘাতের হুমকিতে ইসরায়েল

স্বপ্নে বিজয় দিবস

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৪ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

।। মোঃ মাসুম বিল্লাহ।। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে স্বাধীনতা দিবস রয়েছে। কিন্তু বিজয় দিবস রয়েছে খুব অল্প কয়েকটি দেশে। তার ভিতরে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের যেমন রয়েছে স্বাধীনতা দিবস তেমনি রয়েছে বিজয় দিবস। আর এই বিজয় এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়, এই বিজয় নয় মাস রক্তক্ষয় যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়, এই বিজয় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের ত্যাগে বিজয়, এই বিজয় দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়। তাই এই বিজয়ে আমরা গর্বিত হই। এ বিজয় কোন ব্যক্তি বিশেষের নয় এটি সমগ্র বাংলাদেশী মানুষের। এ বিজয় বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নকে লালন করে।

১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চের কালো রাত থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সে মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত হয়। সে দিন বাংলাদেশী মানুষ পায় বিজয়ের স্বাদ আর। এই বিজয় আমাদের জন্য ছিল গর্বের অন্যদিকে কষ্টের। কেননা অগণিত যুবক অগণিত মানুষ অগণিত দেশপ্রেমিক তারা জীবন দিয়েছে। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। স্বপ্নের বিজয় কিন্তু গত ৫৩ বছর
ধরে আমরা দেখেছি এই বিজয়টি মানুষ তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করেছে। আমরা দেখেছি বিজয়টি বিভিন্ন সময়ে লুণ্ঠিত হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ তাদের বিজয়ে একত্রিত হতে পারেনি। এতো দিন এই বিজয় দিবস সাধারণ মানুষকে ধারণ না করে দলীয়ভাবে উদযাপন করে তার অপমান করেছি। কিন্তু আমাদের হওয়া উচিত ছিল এই বিজয় দিবসটি সমগ্র বাংলাদেশী মানুষের একতার ভিত্তি। তা না করে আমরা এ বিজয়টাকে দলীয়করণ করে ফেলেছিলাম।

২০২৪ সালের বিজয় মেলা দেখে নতুন আমার সহ্চার হলো, আশ্বস্ত হলাম এমনই তো হওয়ার কথা ছিল অনেক আগে। কিন্তু আমরা এতদিন ধরে এরকম করতে পারিনি। বিজয় মেলা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়কে মানুষের দ্বারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসক স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন আয়োজন করেছে। কিন্তু সরকার যখন আয়োজন করে, সেখানে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ব্যবহার করাটা নিয়ে ভয়ংকর আপত্তি রয়েছে। আমরা গত ৫৩ বছর ধরে দেখেছি যারা এই বিজয়ের ক্ষণে ক্ষমতায় ছিল তারাই মনে করেছে যে আমরা এই বিজয়ের ধারক। আমরা চাইনি যে এই বিজয় কারুর ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হোক। কিন্তু আমরা দুর্ভাগা তাই কখনো মাথা
তুলে কথা বলতে পারেনি। আমরা সব মুখ বুজে হজম করেছি।

২০২৪ সালে এসে আমাদের ভ্রম ভেঙে গিয়েছে। আমরা বুঝতে শিখেছি বিজয় মেলার আয়োজন দেখে। অবাক হয়েছি, ভালো লেগেছে। কেননা আমাদের প্রত্যেকটা বাংলাদেশী অংশীদার ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজযয়ে। আমরা আমাদের বিজয় উদযাপন করবো সম্মিলিতভাবে, কোন রাজনৈতিক ব্যানারে নয়। এ বছর বিজয় মেলার ব্যানার গেট সবকিছুতে কোন রাজনৈতিক কর্মী অঙ্গ সংগঠনের কোন কিছু না দেখে আরো বেশি ভালো লাগছে যেন প্রত্যেকটা বিজয় দিবস, প্রত্যেকটা জাতীয় বিষয়গুলো আমাদের সমগ্র মানুষকে ধারণ করে এমন ভাবে উদযাপিত হয়। রাজনৈতিক কর্মীরা তাদের মত করে আলাদা কর্মসূচি পালন করুক কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সরকারিভাবে যদি কোন কর্মসূচি হয় তখন সেখানে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কোন ছবি, কোন দলীয় পরিচয় বহন করা লোগো বা বাণী কিছুই ব্যবহার না করলে শহীদদের জীবন দান জাতিকে একতাবদ্ধ করবে। আর তখনি বিজয় উৎসব সমগ্র মানুষের জন্য কল্যাণকর ও আশীর্বাদ হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews