1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দফা নির্দেশনা প্রদান - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দফা নির্দেশনা প্রদান

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ জন খবরটি পড়েছেন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব যন্ত্র সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো- ১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। ২. হাঁচি/কাশি সময়/বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন। ৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার বুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। ৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। ৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না। ৭. আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews