দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন একজন প্রভাবশালী ইসলামী চিন্তাবিদ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৩ই আগস্ট তিনি কাশিমপুর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ১৪ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান।
সাঈদীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে নানা অভিযোগ ওঠে। তার ছেলে মাসউদ সাঈদী অভিযোগ করেন যে তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সুস্থ অবস্থায় কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে তার মৃত্যু হয়।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, সাঈদী কারাগারে থাকা অবস্থায় ‘নন্দিত জাতি নিন্দিত গন্তব্য’ নামে একটি বই লেখেন। এই বইয়ে তিনি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তার মৃত্যুর আগে কারাগারের কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাঈদীর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। তাকে যখন হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তার অবস্থার অবনতি হয় এবং সেখানেই তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর পর জামায়াতে ইসলামী এবং তার সমর্থকরা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। তারা এটিকে ‘জেল কিলিং’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। তবে সরকার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যুর কথা জানায়।
এই ঘটনাটি এখনো পর্যন্ত নানা আলোচনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে মনে করেন, আবার কেউ কেউ স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করেন। তবে এর পেছনের আসল ঘটনা এখনো অজানা রয়ে গেছে।