ডেস্ক নিউজ।
হজযাত্রীদের যাত্রা আরও সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর মাধ্যমে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পবিত্র হজ পালন সহজ করার জন্য আল্লাহ আমাদের সবাইকে একটা সুযোগ দিয়েছেন, এই সুযোগ যেন আমরা সর্বোচ্চ কাজে লাগাই। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন সে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।’
বর্তমানে দেশে ১ হাজার ২৭৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪১টি হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এবং ৭৫৩টি হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানান, এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে ও অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
হজযাত্রীদের জন্য একটি সুস্পষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে তাদের সমস্যা হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা থাকবে। নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। হজযাত্রীরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং কেউ হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজে বের করা যাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
কল সেন্টারে আসা অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এজেন্সিগুলোর কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ এবং সেবার মান পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো এজেন্সি দায়িত্বে অবহেলা করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
হজযাত্রীরা যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরের বছর থেকে হজ ক্রেডিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। তবে, এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে পাঠানো হচ্ছে না।