বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৫% থেকে বাড়িয়ে ৩৭% করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন, যা বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ ফিরে পাবে এবং এটি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিরই একটি অংশ। তিনি জানান, মার্কিন পণ্যের ওপর অন্যান্য দেশ যে শুল্ক আরোপ করে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন শুল্ক আরোপ করছে।
নতুন নীতির ফলে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এসব দেশ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কম শুল্ক দিয়ে সুবিধা নিচ্ছে, যেখানে মার্কিন পণ্যের ওপর তারা উচ্চ শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যে ৭৪% শুল্ক আরোপ করে, তাই দেশটির পণ্যের ওপর ৩৭% শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার। ২০২৩ সালে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল, যা সামগ্রিক রপ্তানির একটি বড় অংশ। অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির ফলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠতে পারে এবং পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।