1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
পিতা পরিচয়ে চাচা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৫ বছর ধরে শিক্ষিকার চাকরি! - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামে বন্ধুর মর্যাদা ও সঠিক বন্ধু নির্বাচনের গুরুত্ব কক্সবাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সাথে কুকুরের ধাক্কা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনেই বিচার পরিচালিত হবে: তাজুল এনসিপির সমাবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিলেন সারজিস মার্চ ফর জাস্টিস অংশ নেয়া  শিক্ষকদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি’র ১০০ আসন চূড়ান্ত, ২০০ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দেড় হাজার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ খুলছে আজ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ডিসি নিয়োগের প্রস্তুতি পেকুয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ যুবক আটক গভীর রাতে ১২ প্রহরী জিম্মি, নাটোর চিনিকল থেকে ট্রাকযোগে ডাকাতি

পিতা পরিচয়ে চাচা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৫ বছর ধরে শিক্ষিকার চাকরি!

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮২ জন খবরটি পড়েছেন

মিঠামইন প্রতিনিধি। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বোরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তানিয়া আক্তারের চাচা মো. শরিফুল ইসলাম এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুক তার আপন ছোট ভাই জিতু মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তারকে নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০১০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তানিয়া আক্তার গত ১৫ বছর ধরে সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

তদন্তে জানা যায়, ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ওয়ারিশান সনদে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুকের তিন কন্যা সন্তানের নাম রয়েছে – শারমিন স্মৃতি, রোজিনা বেগম ও রুনি আক্তার। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার পিতার নাম গোলাম ফারুক এবং মাতার নাম হেলেনা বেগম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গোলাম ফারুকের অন্য দুই মেয়ে রোজিনা বেগম ও রুনি আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম গোলাম ফারুক এবং মাতার নাম লজ্জত বেগম লেখা রয়েছে। তানিয়া আক্তারের বাবা জিতু মিয়া এখনও জীবিত। এই অসঙ্গতিগুলির ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন গোলাম ফারুকের ভাই মো. শরিফুল ইসলাম।

এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, সাংবাদিকদের আগমনের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দরজা বন্ধ করে অন্যত্র চলে যান। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গোলাম ফারুক প্রথমে জানান তিনি এলাকায় নেই, হাওরে গিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ পরই তাকে বাড়ির সামনে ধানক্ষেতে দেখা যায়। সেখানে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি এবং তানিয়া আক্তারকে নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করেন। তবে একজন মেয়ের দুইজন জীবিত পিতা কিভাবে থাকতে পারেন, এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার এই অভিযোগগুলিকে মিথ্যা এবং শত্রুতামূলক বলে দাবি করেছেন।

মিঠামইন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাদিকুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews