মহান মে দিবস ২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০টি দেশে আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদার স্মারক হিসেবে।
১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করেই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মে দিবস। এর ধারাবাহিকতায় শ্রমিক অধিকার, কর্মঘণ্টা সীমাবদ্ধতা ও শ্রেণি-বৈষম্য হ্রাসে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
বাংলাদেশে দিবসটির তাৎপর্য উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, এই দিন সব কারখানা বন্ধ থাকবে এবং ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে শ্রম অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন সম্প্রতি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দিয়েছে। ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৭ নভেম্বর গঠিত এই ১০ সদস্যের কমিশনের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। কমিশন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে সুপারিশ তৈরি করে।
এছাড়া ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ২০তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শ্রমিক ছাঁটাই বা চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ ও আইন অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া ছাঁটাই বৈধ হবে না।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত স্মারকে বলা হয়, শ্রমিককে অবৈধভাবে ছাঁটাই করলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মে দিবসে কারখানা খোলা রাখলেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
স্মারকটি শ্রম শাখার উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।