ডেস্ক নিউজ।
বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের মতো ১ মে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫। “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সমাবেশ।
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ৫টি শ্রমিক পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ। এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল নয়াপল্টনে এক শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
পল্টন মোড়ে এক সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন আ ন ম শামসুল ইসলাম, এবং বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ রমজান আলী।
মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। রাজধানীর সড়কদ্বীপগুলো সজ্জিত করা হয় ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন এবং রাজনৈতিক দলসমূহ র্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।