ডেস্ক নিউজ।
টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। সিলেট বাদে দেশের ৬৩টি জেলায় চলছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোববার ছিল বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন।
চলমান গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, ত্বকের সমস্যা ও মাথাব্যথাসহ নানা অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত চার দিন ধরেই দেশের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র গরমের দমকা হাওয়া।
তাপপ্রবাহের মধ্যেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে রোববার কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহে বজ্রপাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ঢাকাসহ রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে। ফলে আজ দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। এটি ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূলে আঘাতের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সিস্টেম তৈরি হয়ে তা ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে এলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।