ডেস্ক নিউজ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। এতে বলা হয়, বিচারাধীন বহু মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে—প্রকাশনা, প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণাসহ সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দলটির বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তি ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন, গুম, খুন, নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া, দলটির নেতাকর্মীরা গোপনে দেশজুড়ে উসকানিমূলক কর্মসূচি, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা ও বিদেশে পালিয়ে থাকা নেতাদের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব তৎপরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং বিচার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। মামলার সাক্ষীদের ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
সরকার জানায়, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫ এর আওতায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি আজ থেকেই কার্যকর হবে।