রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল।
এই প্রেক্ষাপটে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তাকে ‘বিদেশি উপদেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করে পদত্যাগ দাবি করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) খুলনায় এক সমাবেশে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, “সরকার একজন বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বানিয়েছে। তিনি কীভাবে সেনাবাহিনীর রিপোর্ট পাবেন? মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, এই বিষয়ে দেশের জনগণ বা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। বরং “অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে” উপদেষ্টা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই অভিযোগের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং সংবিধান অনুযায়ী আমার সব অধিকার প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেই তা সত্য হয়ে যায় না। অভিযোগ প্রমাণের দায়ভার অভিযোগকারীর ওপর বর্তায় এবং প্রয়োজনে আদালতে তা প্রমাণ করতে হবে।”
রাখাইনে মানবিক করিডর খোলার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভূমিকা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সরকার বিষয়টি ‘আন্তর্জাতিক মানবিক উদ্যোগ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও, বিরোধীদলগুলো একে ‘সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস’ হিসেবে দেখছে।