ডেস্ক নিউজ।
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে দলটি সরাসরি রাজপথে নামার পথে না গিয়ে আগামী দুই মাস সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে।
২০ মে সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতারা বৈঠকে বলেন, যদি সরকার জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা না করে কিংবা নির্বাচনের বিলম্বের লক্ষণ স্পষ্ট হয়, তবে রাজপথে আন্দোলনের দিকেই যাবে বিএনপি।
বৈঠকে আরও বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিএনপি সরকারকে চাপ দিতে থাকবে। নেতারা মনে করেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হিসেবে ক্ষমতায় এসেছে, তাই এখনো তাদের কাছ থেকে সঠিক পদক্ষেপের প্রত্যাশা রয়েছে।
বিএনপি নেতাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গোষ্ঠীর আচরণ অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। এনসিপি’র ধারাবাহিক দাবিদাওয়া এবং রাজপথে তৎপরতা সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিত বহন করছে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নেতারা বলেন, সরকার নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় এবং একটি অনুগত দলকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। পাশাপাশি পতিত রাজনৈতিক শক্তিকে পুনর্বাসনের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে সরকারের গড়িমসি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিএনপির মতে, এই দাবিতে ইশরাকের সমর্থকদের আন্দোলন যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক।