স্টাফ রিপোর্টার। অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে)সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরিকুল ইসলাম সরদার অভয়নগর পৌরসভাধীন ধোপাদি এলাকার বাসিন্দা।
নিহত তরিকুল ইসলামের বন্ধু হাফিজুর রহমান জানান, কে বা কারা মোবাইল ফোনে মাছ ঘেরের চুক্তিপত্র করার জন্য তরিকুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। মাছ ঘেরের চুক্তিপত্র করার জন্য তরিকুল ইসলাম সেই অনুযায়ী তরিকুল ইসলাম মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তখন তরিকুলের সঙ্গে সুমন নাম একজন সহকারী ছিলেন।তরিকুল ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে জিম্মি করে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রাখে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়।এই ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন ডহর মশিয়াহাটি এলাকার জনৈক পিন্টুর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তরিকুলের মাথায় তিন রাউন্ড গুলি করা হয়েছে, শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইঁট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলের বাড়িটি পিন্টু বিশ্বাসের বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। আশপাশে মাত্র চারটি বাড়ি আছে। রাত ৮টার দিকে বাড়িগুলো ফাঁকা ছিল। যে ঘরে তরিকুলকে খুন করা হয়েছে, সেখানে দুটি পাসপোর্ট পেয়েছেন স্থানীয়রা। একটি অমর বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের, অন্যটি ধীরেশ্বর বিশ্বাসের স্ত্রী দুর্গারানী বিশ্বাসের। স্থানীয়রা বলেছেন যে, দুর্গারানী হলেন পিন্টু বিশ্বাসের মা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টার সময় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের গাড়ীতে তোলা হয়। অভয়নগর থানার ওসি মো. আবদুল আলিম জানান, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্তলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট
অভিযান শুরু করেছে।ওসি আব্দুল আলিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, খুনিদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।