ডেস্ক নিউজ।
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের তিনটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তনকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিশেষ করে কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নামে নামকরণ করা ছাত্রীনিবাসের নাম বদলে ‘জুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস’ করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক মহলে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু এই সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “সুচিত্রা সেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়া পাবনাবাসীর জন্য অপমানজনক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” তিনি নাম পুনর্বহালের দাবি জানান।
এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানান জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদও। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সুচিত্রা সেন কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তিনি শুধু পাবনার না, বাংলাদেশেরও সাংস্কৃতিক গর্ব। তাঁর নাম বাদ দেওয়া লজ্জার বিষয়।”
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া জানান, নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো নায়িকার নামে ছাত্রাবাসের নামকরণ নেই। অতীতে রাজনৈতিক চাপে নামকরণটি করা হয়েছিল বলে জানা যায়।”
বর্তমানে পরিবর্তিত নাম তিনটি হলের মধ্যে রয়েছে: শেখ রাসেল ছাত্রাবাস → ‘বিজয় ২৪ হল’, বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস → ‘আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস’, এবং সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস → ‘জুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস’।
এমন সিদ্ধান্তে কলেজ প্রশাসন ও পাবনার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।