একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে আজহারুলের আপিল গ্রহণ করেন এবং তাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করেন।
এর ফলে যদি অন্য কোনো মামলা না থাকে, তাহলে আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছে আদালত।
এই মামলায় এটি প্রথমবারের মতো, যখন একজন ব্যক্তি আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে খালাস পেলেন।
আদালতে আজহারুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার মগবাজার থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন। সেই আপিলে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে এবং ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুলাই রিভিউ আবেদন করেন আজহারুল। ২০২4 সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ রিভিউ শুনানির অনুমতি (লিভ) দেয় এবং ২৭ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
অবশেষে আজকের রায়ে দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াই শেষে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেলেন।