ডেস্ক নিউজ।
সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সদস্যরা।
গত ২৫ মে সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশের পর থেকেই এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আসছে ফোরামটি। তারা অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে।
এর আগে ঈদের পর দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এবং বাদিউল কবীর। একইসঙ্গে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা বাদে উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যদের বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয়। এতে চারটি নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি অনানুগত্যমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন বা অন্যদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করেন, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বা থাকতে প্ররোচিত করেন, কিংবা অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন—তবে সেটিকে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তিনি দণ্ডিত হবেন।
এছাড়া অভিযোগ গঠনের সাত কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, সংশোধিত অধ্যাদেশটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।