মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস (প্রতিনিধি পরিষদ) তাদের কর্মীদের সরকারি ডিভাইসে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অ্যাক্সিওস-এর হাতে আসা একটি ইমেলের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
হাউসের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (সিএও) সোমবার কংগ্রেস কর্মীদের জানিয়েছেন যে, ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষায় স্বচ্ছতার অভাব, সংরক্ষিত ডেটা এনক্রিপশনের অনুপস্থিতি এবং এর ব্যবহারের সাথে জড়িত সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সাইবার নিরাপত্তা অফিস হোয়াটসঅ্যাপকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সিএও-এর ইমেলের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “হাউসের কর্মীরা তাদের কোনো হাউস ডিভাইসে, যার মধ্যে মোবাইল, ডেস্কটপ বা ওয়েব ব্রাউজার সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা রাখতে পারবেন না।” যদি কোনো ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করা থাকে, তাহলে তা সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীর সাথে যোগাযোগ করা হবে।
কর্মকর্তাদের ডেটা সুরক্ষার দুর্বলতার বিষয়টিকে এই নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রোগ্রামের ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সিএও ডিপসিক, বাইটড্যান্স অ্যাপস এবং মাইক্রোসফট কপাইলটের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে শুধুমাত্র এর পেইড সংস্করণ, চ্যাটজিপিটি প্লাস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে মাইক্রোসফট টিমস, উইকার, সিগনাল, আইমেসেজ এবং ফেসটাইম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের অজানা নম্বর থেকে আসা সম্ভাব্য ফিশিং স্ক্যাম এবং টেক্সট বার্তা সম্পর্কে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।