নিজস্ব প্রতিনিধি।
সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার সময়ে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার সময় মোস্তফা সরদার (৪৭) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে তার মৃতদেহ সহকর্মীরা লোকালয়ে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা ফরেস্ট ষ্টেশনের আওতাধীন নোটাবেঁকীর ইলিশিমারি খালে ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া মোস্তফা সরদার খুলনার কয়রা উপজেলার (৪ নাম্বার) এলাকার নওশের সরদারের ছেলে।
মারা যাওয়া মোস্তফা সরদারের সঙ্গে থাকা সহকর্মী মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ আলীর দাবি গত ৪/৫ দিন আগে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায় তারা। পরে গতকাল শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার সময় সুন্দরবনের বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তাদের (স্মার্ট টিমের) ভয়ে মালে (স্থানীয় ভাষা সুন্দরবনের মধ্যে) ঢুকে পড়ে তারা দুজন। সে সময় স্মার্ট টিমের সদস্যরা তাদের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকাটি জব্দ করে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সহকর্মী মোস্তফা সরদার হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করেন। তার ধারণা সে স্টক করে। পরে মোস্তফা সরদারকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে সুন্দরবনের নদীর পাশে এসে অন্য জেলেদের নৌকা খোজ করতে থাকে সে। এরপর তাদের অন্য সহকর্মীদের একটি নৌকা দেখতে পেয়ে সেই নৌকার জেলেদের সাথে নিয়ে মোস্তফা সরদারের পাশে যাই তারা। সেখানে গিয়ে মোস্তফা সরদারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। পরে সেখান থেকে সারারাত নৌকা চালিয়ে মোস্তফা সরদারের মরদেহ সকালে লোকালয়ে নিয়ে আসে তারা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জার সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েছি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরার এক জেলে স্টক করে মারা গিয়েছে। তবে কোন এলাকায় মারা গিয়েছে এখনও জানতে পারিনি।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যজুড়ে মাছ-কাঁকড়া ধরার রাজত্ব চলছে বলেও জানান কয়েকটি সূত্র। এছাড়া, কিছু অসাধু জেলের মহাজন (কোম্পানি) ও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে অবৈধভাবে এসব মাছ-কাঁকড়া শিকার ও বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।