যশোর প্রতিনিধি। যশোরের বকুলতলায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, যা দেশের ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উদ্যোগ। এই স্থানটি পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনার জন্য পরিচিত ছিল, যা গত ৫ আগস্টের পর তিন দফায় ভেঙে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, আর ২০২৪ সালে দেশের অভ্যন্তরের ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। তিনি বলেন, এই স্মৃতিস্তম্ভ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সাহস, ত্যাগ ও প্রত্যয়ের এক অনুপ্রেরণামূলক স্মারক হয়ে থাকবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা হবে ১৮ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৬ ফুট। এর বিভিন্ন অংশে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজপথে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগানগুলো খোদাই করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগ যৌথভাবে এই নির্মাণ কাজে অংশ নিচ্ছে। আগামী ৫ আগস্ট এই স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা নূরুজ্জামান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আব্দুল্লাহ’র পিতা আব্দুল জব্বার, জুলাই যোদ্ধা মাসুম বিল্লাহ, যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি গুড়িয়ে দিয়েছিল এবং সেই স্থানেই এই নতুন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।