গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপাগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফেরার সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এনসিপির দাবি, হামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত ছিল।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের জানান, সমাবেশস্থল থেকে রওনা হওয়ার সময় থেকেই তারা হামলার মুখে পড়েন। “গ্রাম থেকে এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন এসে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালিয়েছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন পরিস্থিতি ‘শান্ত’ দাবি করলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনী হামলার সময় কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল।
হামলার সময় এনসিপির গাড়িবহরে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতায় গাড়িবহর শহর ছাড়ার চেষ্টা করলেও আবারো ব্যাপক হামলার মুখে পড়লে তাদের শহরে ফিরিয়ে আনা হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরও লক্ষ্য করে হামলা হয়। সাংবাদিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, সেনা সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শেষ পর্যন্ত এনসিপি নেতাদের বহর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়।
ঘটনার সময় শহরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই ঘটনার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।